পেশাগত জীবনে নানা কারনেই মানসিক চাপ আসতে পারে ৷ স্বৈরশাসক প্রকৃতির উচ্চপদস্থ কর্তা অথবা কাজের ভীষণ চাপ, এমনকি সহকর্মীদের সাথে প্রতিযোগিতাও অনেক সময় মানসিক চাপের কারন হয়ে দাড়ায় ৷ সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে চাকুরীজীবীদের মধ্যে প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ তাদের কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড মানসিক চাপ নিয়ে কাজ করে যান ৷ গবেষণায় আরও দেখা যায় মানসিক চাপে আক্রান্ত এই চাকুরীজীবীরা জানেন না কীভাবে এই অবস্থার সাথে খাপ খাওয়াতে হয় ৷ গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল আমাদের এটাই মনে করিয়ে দেয় যে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে তাদের কর্মকর্তাদের মানসিক সাস্থের ব্যাপারে আরও মনযোগী হউয়া উচিত ৷
গবেষণা প্রতিষ্ঠান এ.পি.এ. ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রায় ১৫০০ চাকুরীজীবীর উপর একটি গবেষণা চালান ৷ এই ১৫০০ চাকুরীজীবীর বয়স ১৮ বছরের উপরে এবং তারা সকলেই পূর্ণকালীন, খন্দকালিন বা অন্য যে কোন প্রকার কাজে নিয়োজিত ৷ গত মার্চ মাসে প্রকাশিত এই গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় তিনভাগের একভাগ দীর্ঘস্থায়ী মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকেন ৷ এর কারন হিসেবে তারা যে বিষয়গুলোকে উল্লেখ করেন সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কম বেতন, পদোন্নতির সুযোগের অভাব এবং প্রচণ্ড কাজের চাপ ৷ কিন্তু অবাক করার মত বিষয় হল ৩৬ ভাগ চাকুরীজীবী বলেন তারা তাদের কর্মস্থল থেকে মানসিক চাপ মুক্তির ব্যাপারে সহায়তা পেয়ে থাকেন ৷ ৫০ ভাগের বেশি অংশগ্রহণকারী বলেন তাদের কর্মস্থলে এই মানসিক চাপ দূর করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান সুযোগ সুবিধা রয়েছে ৷
এটা সত্যি যে অনেক প্রতিষ্ঠানেই কর্মকর্তাদের মানসিক চাপ দূর করার জন্য নানা রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় ৷ বিভিন্ন ধরনের কর্মশালা বা সেমিনার আয়োজন সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ৷ কর্মকর্তারা সেই সব সেমিনারে যোগদানের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারেন ৷ কখনও কখনও ব্যত্তিগত উদ্যোগেও তারা বিভিন্ন সেমিনারে অংশ গ্রহন করতে পারেন ৷ কর্মক্ষেত্রে চাপ থাকবেই ৷ তাই প্রতিষ্ঠানের সহায়তা কিংবা ব্যত্তিগত উদ্যোগ – যেভাবেই হোক না কেন, এই চাপ মোকাবেলা করা শিখতে হবে ৷ কর্মক্ষেত্রে কৃতিত্তের সাথে টিকে থাকতে হলে মানসিক চাপকে সাফল্যের সাথে মোকাবেলার কোন বিকল্প নাই ৷৷
নতুন নতুন ভালোবাসার গল্প, কষ্টের গল্প ও মজার মজার গল্প পড়তে ভিজিট করুন
উত্তরমুছুনwww.valobasargolpo2.xyz