আজ আমি সর্বকালের সেরা, বিশটি অমর-প্রেম কাহিনী এবং ভালোবাসার জন্য উৎসর্গকৃত বিশ্ববিখ্যাত সাহিত্যকর্মগুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।
১। রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েটঃ

"Never
was a story of love nor woe that of Juliet and her Romeo." সবাই-ই মেনে থাকেন এই জুটিই, প্রেমের ইতিহাস বা গল্পগুলোর মধ্যে সর্বাধিক প্রচারিত বা সবচেয়ে বেশী বিখ্যাত। যেন
ভালোবাসার অপর নাম রমিও-জুলিয়েট। বিশ্ব
বিখ্যাত ইংরেজ লেখক,
William Shakespeare এর
কালজয়ী ট্রাজেডি হল এই
“Romeo and Juliet!” দুটি
ভিন্ন পরিবারের পূর্ববর্তী রেষারেষি, বংশীয় অহংকার ভেদ করে দুজন তরুণতরুণীর প্রথম দর্শনে
প্রেমে পড়া। পরবর্তী তে পরিবারের
বাঁধা, ভয় দেখানো, নানা মাসসিক সংশয়- টানাপোড়ন সব উপেক্ষা করে নানা নাটকীয়তার মাঝে তাদের বিয়ে করা। এবং
সবশেষে, তথ্যগত ভুলবোঝা বুঝি জনিত কারণে বিষপানে দুজনের মৃত্যু!! সব মিলিয়েই, রোমিও- জুলিয়েট কাহিনী হয়ে গেছে অমর এক প্রেম গাঁথা! তাই পৃথিবীতে যখনই
প্রেমের জন্য ত্যাগ- তিতিক্ষার কথা
বলা হয়, সবার আগেই উঠে আসে এই যুগলের নাম! যুগে
যুগে অসংখ্য নাটক, সিনেমা বানানো হয়েছে এই “timeless love” নিয়ে।
২। এন্টোনি অ্যান্ড ক্লিওপার্টাঃ

৩। ল্যাঞ্ছলট অ্যান্ড গুইনেভারাঃ
আরেকটি রাজকীয়
এবং সেই সঙ্গে ট্র্যাজিক লাভ স্টোরি গুলোর মধ্যে অন্যতম হল, এই আর্থারিয়ান প্রেম কাহিনী স্যার ল্যাঞ্ছলট অ্যান্ড লেডী গুইনেভারা। ইংলিশ কিং আর্থারের স্ত্রী, রাণী গুইনেভারার প্রেমে পড়েছিলেন সেই রাজ্যের বীর একজন নাইট, স্যার
ল্যাঞ্ছলট। রাজা আর্থারের অবহেলা আর অবজ্ঞার কারণে, একসময়
রাণী গুইনেভারাও তাঁর প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু একদিন, রাজা
আর্থারের অপর নাইট স্যার আগ্রাভেইন, স্যার মোড্রেড এবং একদল সৈন্য এই যুগলকে বদ্ধ কামরায় আবিষ্কার করে ফেলে। পরকীয়ার অপরাধে রাণী
গুইনেভারাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার
শাস্তি ঘোষণা করা হয়। স্যার ল্যাঞ্ছলট তাঁর প্রেমিকা লেডী গুইনেভারাকে যুদ্ধ করে বাঁচিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম
হয়, কিন্তু তাঁদের এই প্রেমের জন্য পুরো রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং অনেক মৃত্যুর জন্য
তাঁরা নিজেদের দায়ী করে, নিজেদের মধ্যে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়।
পরবর্তীতে তাঁরা দুজনেই দুটি
ভিন্ন জায়গায় ধর্মের সেবক হয়ে যান।
৪। ট্রিস্টান অ্যান্ড অ্যাইসোলেইডঃ

৫।প্যারিস অ্যান্ড হেলেনঃ
গ্রীক পুরাণের
ফ্যাক্ট এবং ফিকশনের অপূর্ব এক সংমিশ্রণ হল, গ্রীকলেখক কালজয়ী হোমারের জগতবিখ্যাত এপিক “ইলিয়াড।” নাম
করা সেই যুদ্ধের নাম হল,
“Trojan War!” যে যুদ্ধে ধ্বংস
হয়েছিল পুরো একটা শহর- ট্রয়! ইতিহাসে যা “war for Helen” কিংবা “Helen
of troy” নামে বিখ্যাত।
গ্রীক পুরাণ অনুযায়ী অনন্য এই
সুন্দরী হেলেন ছিলেন, ট্রয় নগরীর পার্শ্ববর্তী, স্পার্টার রাজা মেনেলাসের স্ত্রী। ট্রয়ের ছোট রাজকুমার প্যারিস
তাঁকে চুরি করে তাঁর রাজ্যে নিয়ে
এসেছিলেন। এতেই বেঁধে গেল ১২ বছর ধরে চলা এক ঐতিহাসিক যুদ্ধ। স্পার্টার পক্ষে এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন রাজা
এগামেমনন। এমনকি এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ
করেছিলেন গ্রীক দেব ও দেবীরা! ট্রয়
রাজকুমার হেক্টর, প্যারিস, দেবতা
অ্যাকিলিস, স্পার্টার রাজা মেনেলাস সহ অনেকেই নিহত
হন। প্রেমের জন্য এত রক্তপাত আর
ধ্বংস পৃথিবীর ইতিহাসে আর নেই।
৬। অরফিয়াস অ্যান্ড ইরিডাইসঃ
এটিও একটি গ্রীক
মিথ। সাহিত্যে তাঁদের কাহিনীকে স্বীকৃত দেয়া হয়, “tale of desperate love” বলে। গ্রীক
পুরাণ মতে, স্বর্গের এক বিবাহিত পরী ইরিডাইসের প্রেমে পড়েন হারপুন নামক এক বাদ্যবাজক অরফিয়াস।
কিন্তু দেবতা এরিসটেইয়াসের সাথে
এই দুর্ঘটনায় অরফিয়াস, ইরিডাইসকে হারিয়ে ফেলে। তাঁকে তুলে
নিয়ে যাওয়াহয় পাতালপুরীতে। কিন্তু অরফিয়াস
তাঁর জাদুকরীএক বাদ্য মূর্ছনায় হারপুন বাজিয়ে
দেব- দেবীর মন জয় করে ফেলে। তিনি তাঁর রাজ্য ফেলে ক্রমাগত হারপুন বাজিয়ে তাঁর ভালোবাসা ইরিডাইসের জন্য নানা
জায়গায় অপেক্ষা করেছেন। অবশেষে সঙ্গীত দেবতা হেডস ও পারসিফোনের ক্ষমায় অরফিয়াস
পাতালপুরীতে জান ইরিডাইসকে উদ্ধার করতে। কিন্তু শর্ত থাকে যে, অরফিয়াস পৃথিবীতে অবতরণের আগে ইরিডাইসকে পিছন ফিরে দেখতে পারবেন না। কিন্তু
অরফিয়াস অতি আবেগে আর উৎকণ্ঠায় দেবতাদের শর্তের কথা ভুলে যায়, এবং ইরিডাইসকে দেখতে থাকে। ফলাফল, চিরতরের জন্য ইরিডাইসকে হারিয়ে ফেলে। বলা হয়ে
থাকে, এই যে প্রেম কিংবা বিরহে সঙ্গীত ও মিউজিক অনেক বড় ভুমিকা থাকে, সেটা নাকি অরফিয়াস আর ইরিডাইসের প্রেমকাহিনী থেকেই অনুপ্রাণিত হওয়া।
৭। নেপোলিয়ন অ্যান্ড জোসেপাইনঃ

সুন্দর হইছে।
উত্তরমুছুননতুন নতুন ভালোবাসার গল্প, কষ্টের গল্প ও মজার মজার গল্প পড়তে ভিজিট করুন
উত্তরমুছুনwww.valobasargolpo2.xyz