ছেলেরা প্রথম দিন সুন্দর করে একটু কথা বলবে।
তারপর তোমাকে খুব একটা বিরক্ত করবে না।
কয়েক দিন পর স্মার্ট হয়ে এসে আবার দেখা করবে, হাসি দিয়ে মিষ্টি কথা শোনাবে।
তারপর আবার দেখা করে তোমার প্রশংসা করবে।
এভাবে আস্তে আস্তে তোমার পরিচিত একজন হয়ে উঠবে
এবং এত সুন্দর করে যে তোমার সৌন্দর্য্যের গুন গাইবে,
তাতে তুমি অভিভূত হয়ে পড়বে।
তোমার বিভিন্ন সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে সমাধানের জন্য দৌড়ে যাবে।
মাঝে মাঝেই ফোনে তোমার খোঁজ নেবে।
তুমি আকৃষ্ট হবে, হতে বাধ্য।
ডেটিং করবে।
নাস্তা খাওয়াবে।
তোমাকে সুন্দর সুন্দর উপহার কিনে দিবে।
তুমি ভাববে, তার মতো মানুষই হয় না, যেন দেবতা।
তুমি নিজেকে ভাগ্যবতী ভাববে।
এদেশের নাটক-সিনেমা তোমাকে প্রেমের মর্মবাণী শেখাবে।
কবি-সাহিত্যিকদের লেখনী তোমাকে প্রেমের তাৎপর্য বোঝাবে।
সত্যি, তুমি একজন প্রকৃত প্রেমিকা হয়ে উঠবে।
একজন আদর্শ প্রেমিকার গুণে গুণান্বিত হওয়ার জন্য তুমি উঠেপড়ে লাগবে।
এমতাবস্থায় তোমাকে বিয়ের কথা শোনাবে।
তুমি একবাক্যে রাজি হয়ে আনন্দিত হবে।
তারপর বিয়ের প্রস্ত্ততির জন্য তোমার কাছে কয়েক মাস সময় চেয়ে নেবে।
ভাল, খুবই ভাল, তুমি ঠিকই সময় দেবে।
তার কয়েকদিন পর তোমার শরীর স্পর্শ করবে।
তারপর আরও কাছাকাছি এবং একপর্যায়ে যৌনতা।
মানষিকভাবে যেহেতু জীবন-সঙ্গী হিসেবে মেনেই নিয়েছ
তাই তুমি ইতস্তঃত করলেও কঠিনভাবে বাধা দিবে না।
শুরু হয়ে গেল।
প্রথম থেকে সবকিছুই চলছে অত্যন্ত সুনিপূণভাবে, সুপরিকল্পিতভাবে।
এভাবে কিছুদিন চলবে কিন্তু বেশিদিন চালাবে না।
একসময় ঘরের মধ্যে আগে থেকেই গোপনে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা চালু করে রাখবে
অথবা জানালা বা দরজার ছিদ্র দিয়ে আরেকজনকে দিয়ে দু হাতে বিভিন্ন স্টাইলের চলমান ছবি ক্যামেরাবন্দি করবে।
তারপর কি করবে?
ইন্টারনেটে ছাড়বে ?
অবশ্যই ছাড়বে তবে আগেই না, আরো কাজ আছে।
তোমার সেই ভাল মানুষটি তখন একটু ব্যস্ততা দেখিয়ে দূরে দূরে থাকবে।
আর সেই ফাঁকে ক্যামেরাম্যানটি তোমার সাথে যোগাযোগ করে তোমাকে ছবিগুলির কপি দেখাবে, তোমার মাথা বন বন ঘুরবে,
তখন সে তোমাকে আশ্বস্ত করবে,
ভয়ের কোনো কারণ নেই সবকিছু গোপন থাকবে,
তবে একদিন শুধু সে তোমাকে--- --- চাইবে।
ওদের দু‘জনের মধ্যে যোগাযোগের কথা অস্বীকার করে তোমাকে জানিয়ে দেবে প্রস্তাবে রাজি না হলেই ইন্টারনেট।
বালিকা, তুমি কিন্তু একজন আদর্শ প্রেমিকা হতে চেয়েছিলে।
তোমাকে প্রেম শেখানো কবি-সাহিত্যিকরা এখন কোথায়?
এখন তুমি কি করবে?
আত্মহত্যা?
রাবিস! তুমি আত্মহত্যা করলে বা না করলে তাতে কার কি যায় আসে?
প্রতিদিন তোমার মতো কত মেয়েই তো আত্মহত্যা করছে।
তাহলে শেষ পর্যন্ত কি সিদ্ধান্ত নেবে?
ধরে নিলাম ক্যামেরাম্যানের কথায় তুমি রাজি হয়ে গেলে।
তারপরও কি তোমার বাঁচার কোনো উপায় আছে?
এভাবে আরও কঠিন প্রতারণা করবে।
ওই দু‘জনসহ অনেকে মিলে তোমাকে গণধর্ষণ করবে।
তারপর ঠিকই তোমার ওই ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছাড়বে।
শহর-গ্রামের তের থেকে তেহাত্তুর বছর বয়সের বিকৃত মনের পুরুষেরা মজা করে তোমার ওই ছবিগুলি দেখবে।
শুধু দেখবেই না, অপরাধের সবটুকু তোমার মধ্যেই তারা খুঁজে পাবে।
তুমি নষ্টা, তুমি কামদানবী, তুমি পাপিষ্ট, তুমি একজন ভাল ছেলেকে নষ্ট করতে চাচ্ছিলে।
আজ কাল এসবই তো হচ্ছে। তাই একটু সাবধান হও!!!
(সংগৃহীত)
ধন্যবাদ...
উত্তরমুছুননতুন নতুন ভালোবাসার গল্প, কষ্টের গল্প ও মজার মজার গল্প পড়তে ভিজিট করুন
উত্তরমুছুনwww.valobasargolpo2.xyz