আজ আমি একটি বিষয় আপনাদের সামনে উন্মচন করব। এরকম ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। প্রথমই বলি ঘটনাটি আমার কিন্তু পরামর্শ আমার না। পরামর্শএকটি পত্রিকা থেকে সংগ্রহ করা। যাইহোক তাহলে শুরু করি ............
অর্ক এবং তনু (ছদ্মনাম) একসাথে একই কলেজে পড়াশুনা করে। আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়। একে অপরের সাথে সুখ দুঃখের কথা শেয়ার করে। কিন্তু দিন বাড়ার সাথে সাথে অর্ক তনুর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। এক সময় অর্ক তনুকে অনেক পছন্দ করে ফেলে। কিন্তু বন্ধুত্তের জন্য মনের কথা বলতে পারে না। অনেক আকার ইঙ্গিতে বলার চেষ্টা করেও যখন কোন ফল পেল না তখন সে এস এম এস করে তাকে জানায়। বন্ধুর এমন কথা শুনে চমকে ওঠে তনু। কী করবে বুঝে উঠতে পারে না। বন্ধুকে যে শুধু বন্ধু হিসেবেই চায় সে, প্রেমিক হিসেবে নয়। কিন্তু অর্ক এদিকে তনুর জন্য অস্থির উদ্দীপনায় পড়ে আছে, যা অর্কর পড়াশুনা সহ স্বাভাবিক কাজগুলোর ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।
আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়তই ঘটছে এমন ঘটনা। কম বয়সের কোনো ছেলে বা মেয়ে ভবিষ্যতের কথা ভেবে বা বুঝে-শুনে যে বন্ধুর প্রতি ভালো লাগার কথা জানায় তা কিন্তু নয়। আবার যাকে ভালো লাগার বিষয়টি জানাচ্ছে, সেও তার মতো একই বয়সী বলে বুঝে উঠতে পারে না যে কী করবে। ‘তোমাকে না পেলে মরে যাব’ বন্ধুর এমন কথায় সে ভড়কে গিয়ে হয়তো না বুঝেই হ্যাঁ বলে ফেলে। আবার বন্ধুর পক্ষ থেকে উত্তরটি নেতিবাচক হলে ঘুমের ওষুধ খাওয়া, পরীক্ষা না দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। অপর পক্ষের বন্ধুর মানসিক অবস্থাও যে তখন খুব স্বাভাবিক থাকে তা নয়। কারণ, সে নিজেও তার বন্ধুর ভালো চায়। তাকে হারাতে চায় না।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ এহসান হাবীব বলেন, ‘আমাদের জীবনে অন্যতম নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো বন্ধু। কৈশোরে বা কম বয়সে বন্ধুত্বকে ছাপিয়ে ভালো লাগা তৈরি হলে তখন উভয় পক্ষেরই বিষয়টি গ্রহণ ও মোকাবিলা করার মানসিক প্রস্তুতি থাকে না। ফলে না বুঝে তারা নানা রকম ভুল করে ফেলে। এ জন্য বাড়িতে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেন সন্তান যেকোনো কথা এসে বলতে পারে। সন্তানকে ভুল না বুঝে তাকে সাহায্য করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ এহসান হাবীব বলেন, ‘আমাদের জীবনে অন্যতম নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো বন্ধু। কৈশোরে বা কম বয়সে বন্ধুত্বকে ছাপিয়ে ভালো লাগা তৈরি হলে তখন উভয় পক্ষেরই বিষয়টি গ্রহণ ও মোকাবিলা করার মানসিক প্রস্তুতি থাকে না। ফলে না বুঝে তারা নানা রকম ভুল করে ফেলে। এ জন্য বাড়িতে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেন সন্তান যেকোনো কথা এসে বলতে পারে। সন্তানকে ভুল না বুঝে তাকে সাহায্য করতে হবে।’
পরামর্শঃ
১। কোনো বন্ধুকে বিশেষভাবে ভালো লাগলে আগে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হবে। কথাটি বলার উপযুক্ত সময় হয়েছে কি না তা বুঝতে হবে। যদি ভেবেই নেন না বলে থাকতে পারছেন না, তাহলে বলে ফেলুন। তবে এটিও মনে রাখতে হবে, যে বন্ধুকে ভালো লাগার কথা বলবেন তাঁর ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে। তিনি প্রেমিক হিসেবে আপনাকে নাও মানতে পারেন। এটি মেনে নেওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি থাকতে হবে।
২। ভালো লাগা ভালোবাসায় জোর খাটে না, তাই বন্ধুকে কোনো প্রকার চাপ সৃষ্টি করা উচিত নয়। বন্ধুর যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।
৩। সবকিছু ভাবাভাবির পর ধরা যাক বন্ধুটি বলেই দিল মনের না-বলা কথা। অপর পক্ষেরও তখন বন্ধু হিসেবে কিছু কর্তব্য আছে। যেকোনো ব্যর্থতাই মেনে নেওয়া কষ্টকর। নিজের অপারগতার কথা হঠাৎ করেই রূঢ়ভাবে প্রকাশ না করে বা তাঁকে এড়িয়ে না গিয়ে স্বাভাবিক থাকতে হবে। বন্ধুকে বোঝাতে হবে এ
মুহূর্তে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়া বেশি জরুরি।
৪। অন্য বন্ধুদের সামনে বন্ধুর ভালো লাগা নিয়ে হাসিঠাট্টা করা উচিত নয়। তাঁকে অপমানিত ও লজ্জিত না করে আগের মতো বন্ধু হয়ে পাশে আছেন, এটি বোঝাতে হবে।
৫। বন্ধুকে সময় দিতে হবে। শুধু দুজন একসঙ্গে না থেকে দলের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে।
অর্ক এবং তনু (ছদ্মনাম) একসাথে একই কলেজে পড়াশুনা করে। আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়। একে অপরের সাথে সুখ দুঃখের কথা শেয়ার করে। কিন্তু দিন বাড়ার সাথে সাথে অর্ক তনুর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। এক সময় অর্ক তনুকে অনেক পছন্দ করে ফেলে। কিন্তু বন্ধুত্তের জন্য মনের কথা বলতে পারে না। অনেক আকার ইঙ্গিতে বলার চেষ্টা করেও যখন কোন ফল পেল না তখন সে এস এম এস করে তাকে জানায়। বন্ধুর এমন কথা শুনে চমকে ওঠে তনু। কী করবে বুঝে উঠতে পারে না। বন্ধুকে যে শুধু বন্ধু হিসেবেই চায় সে, প্রেমিক হিসেবে নয়। কিন্তু অর্ক এদিকে তনুর জন্য অস্থির উদ্দীপনায় পড়ে আছে, যা অর্কর পড়াশুনা সহ স্বাভাবিক কাজগুলোর ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।
আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়তই ঘটছে এমন ঘটনা। কম বয়সের কোনো ছেলে বা মেয়ে ভবিষ্যতের কথা ভেবে বা বুঝে-শুনে যে বন্ধুর প্রতি ভালো লাগার কথা জানায় তা কিন্তু নয়। আবার যাকে ভালো লাগার বিষয়টি জানাচ্ছে, সেও তার মতো একই বয়সী বলে বুঝে উঠতে পারে না যে কী করবে। ‘তোমাকে না পেলে মরে যাব’ বন্ধুর এমন কথায় সে ভড়কে গিয়ে হয়তো না বুঝেই হ্যাঁ বলে ফেলে। আবার বন্ধুর পক্ষ থেকে উত্তরটি নেতিবাচক হলে ঘুমের ওষুধ খাওয়া, পরীক্ষা না দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। অপর পক্ষের বন্ধুর মানসিক অবস্থাও যে তখন খুব স্বাভাবিক থাকে তা নয়। কারণ, সে নিজেও তার বন্ধুর ভালো চায়। তাকে হারাতে চায় না।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ এহসান হাবীব বলেন, ‘আমাদের জীবনে অন্যতম নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো বন্ধু। কৈশোরে বা কম বয়সে বন্ধুত্বকে ছাপিয়ে ভালো লাগা তৈরি হলে তখন উভয় পক্ষেরই বিষয়টি গ্রহণ ও মোকাবিলা করার মানসিক প্রস্তুতি থাকে না। ফলে না বুঝে তারা নানা রকম ভুল করে ফেলে। এ জন্য বাড়িতে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেন সন্তান যেকোনো কথা এসে বলতে পারে। সন্তানকে ভুল না বুঝে তাকে সাহায্য করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ এহসান হাবীব বলেন, ‘আমাদের জীবনে অন্যতম নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো বন্ধু। কৈশোরে বা কম বয়সে বন্ধুত্বকে ছাপিয়ে ভালো লাগা তৈরি হলে তখন উভয় পক্ষেরই বিষয়টি গ্রহণ ও মোকাবিলা করার মানসিক প্রস্তুতি থাকে না। ফলে না বুঝে তারা নানা রকম ভুল করে ফেলে। এ জন্য বাড়িতে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেন সন্তান যেকোনো কথা এসে বলতে পারে। সন্তানকে ভুল না বুঝে তাকে সাহায্য করতে হবে।’
পরামর্শঃ
১। কোনো বন্ধুকে বিশেষভাবে ভালো লাগলে আগে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হবে। কথাটি বলার উপযুক্ত সময় হয়েছে কি না তা বুঝতে হবে। যদি ভেবেই নেন না বলে থাকতে পারছেন না, তাহলে বলে ফেলুন। তবে এটিও মনে রাখতে হবে, যে বন্ধুকে ভালো লাগার কথা বলবেন তাঁর ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে। তিনি প্রেমিক হিসেবে আপনাকে নাও মানতে পারেন। এটি মেনে নেওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি থাকতে হবে।
২। ভালো লাগা ভালোবাসায় জোর খাটে না, তাই বন্ধুকে কোনো প্রকার চাপ সৃষ্টি করা উচিত নয়। বন্ধুর যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।
৩। সবকিছু ভাবাভাবির পর ধরা যাক বন্ধুটি বলেই দিল মনের না-বলা কথা। অপর পক্ষেরও তখন বন্ধু হিসেবে কিছু কর্তব্য আছে। যেকোনো ব্যর্থতাই মেনে নেওয়া কষ্টকর। নিজের অপারগতার কথা হঠাৎ করেই রূঢ়ভাবে প্রকাশ না করে বা তাঁকে এড়িয়ে না গিয়ে স্বাভাবিক থাকতে হবে। বন্ধুকে বোঝাতে হবে এ
মুহূর্তে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়া বেশি জরুরি।
৪। অন্য বন্ধুদের সামনে বন্ধুর ভালো লাগা নিয়ে হাসিঠাট্টা করা উচিত নয়। তাঁকে অপমানিত ও লজ্জিত না করে আগের মতো বন্ধু হয়ে পাশে আছেন, এটি বোঝাতে হবে।
৫। বন্ধুকে সময় দিতে হবে। শুধু দুজন একসঙ্গে না থেকে দলের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে।
৬। বন্ধুর ভালোর জন্য সব বন্ধু মিলে আলোচনা করতে পারেন। তবে বন্ধু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলে মনোবিজ্ঞানীর শরণাপন্ন হতে হবে। আপনি যে তাঁর সত্যিকারের বন্ধু, তা প্রকাশ পাবে এভাবেই
আগেই বলেছি এটার পরামর্শ পত্রিকা থেকে সংগৃহীত। ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
মূল লেখাটি এখানে।