শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৪

সম্পর্কে ব্রেক আপ ঠেকানোর কার্যকর ১০ টি উপায়

ইদানিং সম্পর্কগুলো যেমন সহজে গড়ে ওঠে, তেমন খুব সহজে ভেঙ্গেও যায়। অনেক সময় অনেক ছোট ছোট বিষয়ই আমাদের একটুই অসতর্কতার কারনে বড় হয়ে ওঠে এবং যার পরিণতিতে একটি সুন্দর সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে। কিন্তু ঝগড়া বা তর্ক হলেই যে তা ব্রেক আপের লক্ষণ তা কিন্তু নয়, তবে কিছু বিষয়ের ব্যাপারে আসলেই আমাদের সাবধান হওয়া উচিত।
আপনারই জন্যে রইলো কিছু টিপসঃ


আপনার সঙ্গীকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন নাঃ
আপনার সঙ্গী যেমন তাকে আপনি তেমনিভাবেই পছন্দ করেছিলেন।তাই তাকে আমূল বদলাতে চেষ্টা করবেন না। কারো সাথে তুলনা দিয়ে বদলাতে বলবেন না। এতে আপনার সঙ্গীর মনে হীনম্মণ্যতা তৈরী হবে। আবার হয়তো একদিন তিনি বদলে যাবেন কিন্তু সেদিন হয়তো আপনার প্রয়োজনও তার কাছে ফুরিয়ে যাবে।

মনোযোগ দিয়ে সঙ্গীর কথা শুনুনঃ
আপনার সঙ্গীর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।এতে তার অভিযোগ, ভালোলাগা, মানসিকতা, প্রত্যাশা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন আপনি। আর সেই সাথে আপনাদের সম্পর্কও মজবুত হবে।
সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি নয়ঃ
অনেক সময় একটি সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবার জন্যে একজন বাইরের মানুষই যথেষ্ট। তাই চেষ্টা করুণ আপনাদের সম্পর্কের ব্যক্তিগত ব্যাপারে যতটা সম্ভব গোপনীয়তা বজায় রাখতে। ঝগড়া ঝাঁটি হলেই বাইরের কোন বন্ধুকে সমঝোতার জন্যে ডেকে আনবেন না। নিজেরা মেটান।
পারিবারিক ব্যাপারে সতর্ক থাকুনঃ
শুধু নিজের পরিবারই নয়, গুরুত্ব দিন সঙ্গীর পরিবারকেও! নিজে যথেষ্ট পরিমাণে সংযুক্ত না থাকতে পারলেও খেয়াল রাখুন আপনার কারণে যাতে সঙ্গীর সাথে তার পরিবারের কোন দূরত্ব তৈরী না হয়।
ঝগড়া দীর্ঘমেয়াদী হতে দেবেন নাঃ
ঝগড়া একটি সম্পর্কে অনিবার্য। কিন্তু তাই বলে দীর্ঘদিন যাতে সেটি না গড়ায়। অল্প সময়ের ঝগড়া সম্পর্ককে মজবুত করে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদের দূরত্ব (কথা বন্ধ রাখা, দেখা না করা) একটি সম্পর্ককে বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়।
তার বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে দিনঃ
আপনার সঙ্গী আপনার সাথে সময় কাটাবেন স্বাভাবিক। কিন্তু তাকে তার জগত থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবেন না। সপ্তাহে অন্তত একটি দিন তাকে তার বন্ধুদের সাথে আলাদা সময় কাটাতে দিন। নিজেও নিজের বন্ধুদের সাথে সময় কাটান। আপনি তার সাথে সব সময় আঠার মত লেগে থাকলে তিনি অস্বস্তি বোধ করবেন।
বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুদের ব্যাপারে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাবেন নাঃ
সঙ্গীর বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুদের ব্যাপারে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না।আপনার সঙ্গীকে অন্য কারো ভালো লাগতেই পারে কিন্তু তিনি যদি দূর্বল হয়ে না থাকেন, তবে অন্য কারো প্রত্যাশার শাস্তি যাতে আপনার কাছের মানুষটি আপনার কাছ থেকে না পান। বন্ধুদেরকে লিঙ্গের বিচারে না দেখে বন্ধু হিসেবেই দেখুন।
অতীতের সম্পর্ক নিয়ে খোঁচাবেন নাঃ
প্রত্যেকের জীবনেই একটি অতীত থাকে। হয়তো আপনি আপনার সঙ্গীর প্রথম প্রেম নন, কিন্তু তাই বলে কখনোই তার প্রথম প্রেম নিয়ে তাকে অযথা খোঁচাবেন না বা নিজের প্রথম ভালোবাসা নিয়ে ঝগড়া বিবাদের সময়েও তার সাথে তুলনা দিয়ে কথা বলবেন না। এতে তিনি যেমন বিরক্ত হবেন তেমনি আপনার মাঝেই নিরাপত্তাহীনতা নিজের অবচেতনেই তৈরী হবে।
অধিকার নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়ছাড় দিতে শিখুনঃ
প্রত্যেকেই চান, তার সঙ্গী সবার আগে, সবকিছুর আগে, তাকেই প্রাধান্য দিক। কিন্তু তাই বলে আপনার সঙ্গী যদি মাঝে মাঝে তার অন্য কোন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তবে সেটি নিয়ে ঝগড়া ঝাঁটি না করে বোঝার চেষ্টা করুন।
ব্যক্তিগত জিনিসে হাত দেবেন নাঃ
আপনার সঙ্গীর ব্যক্তিগত ডায়েরী, মেইল, এসএমএস তার অনুমতি ছাড়া ঘাঁটবেন না। এতে আপনি তাকে ভুল বুঝতে পারেন। আর প্রত্যেকের একটি নিজস্ব জগত থাকে যা একান্তই তার। তার গোপন জিনিসের গোপনীয়তা বজায় রাখতে তাকে আপনিও সাহায্য করুন।
যান্ত্রিক পৃথিবীতে মানবিক সম্পর্কগুলো ধরে রাখা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই যত্ন নিন আপনার সম্পর্কের। ভালো থাকুন যৌথতার জীবনে।

রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৪

চুম্বনে দারুণ পারদর্শী হতে হলে......




একটি দারুণ কার্যকর চুম্বন ভালো কিছু বয়ে আনে। উত্তেজনাপূর্ণ চুম্বনে পারদর্শী হতে হলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। নর-নারীর প্রেম নিবেদনের সবচেয়ে আবেগপূর্ণ একটি আচরণ ; চুম্বন। কাজেই বিষয়টি ফেলনা নয় এবং এ নিয়ে গবেষণা চলেছে বিস্তর। এবার গবেষকদের পরামর্শ আপনার জন্য।
ধরে নিন আপনি এবং আপনার প্রেমিকা দুজন দুজনকে আবেগে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করছেন এবং আপনি আরেকটু গভীরভাবে একে উপভোগ করতে চান। এখন কী করতে পারেন? দুই হাত দিয়ে প্রেমিকার অপরূপ মুখটিকে আরো নিজের কাছে টেনে আনুন এবং চুম্বনের কাজটিতে আপনার কর্তৃত্ব নিন। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটা হলো, যখন আপনি দুই হাত দিয়ে তার মুখের দুই পাশ জড়িয়ে ধরবেন, তখন প্রেমিকা আপনার দুই হাতের উষ্ণতা পাবেন এবং এর মাধ্যমে তার ওপর আপনার ভর চাপাতে পারবেন এবং সে আপনাকে গ্রহণ করে নেবে।

এই ভালোবাসাবাসি করার সময় আপনি কিছু গলার স্বরের বা অস্ফূট শব্দের কিছু খেলা করতে পারেন। এতে আপনি এবং সেও একই সঙ্গে চুম্বনে আকৃষ্ট হবেন। সত্যিকার অর্থে দুজনের অস্ফূট এই শব্দ প্রকাশ করে যে, দুজন দুজনের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলছেন। এতে দুজন আরো আবেগী এবং সাহসী হয়ে উঠবেন। এ ব্যাপারে নারীরা দারুণ আবেগপূর্ণ হন এবং তাদের অহংবোধ কাজ করে।
'প্র্যাকটিস মেকস আ ম্যান পারফেক্ট', অর্থাৎ যারা নতুন চুম্বন করতে যাচ্ছেন তারা একটি কাজ করতে পারেন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুমু খাওয়ার ভাবভঙ্গি কেমন হয় তা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আরো বেশি নিখুঁত হয়ে প্রেমিকার সামনে দাঁড়ানো যাদের জন্য খুবই জরুরি, তারা নিজের হাতে সঙ্গে এ কাজটি করে দেখতে পারেন। ভেবে নিন, অভিনয় করছেন কিন্তু খুবই সিরিয়াস। চোখ বন্ধ করে এ কাজ করে দেখু্ন আপনার ঠোঁটের উষ্ণতা প্রেমিকার ঠোঁটে কেমন লাগতে পারে। এতে অবশ্যই আপনি অনেক আত্মবিশ্বাস এবং কৌশলগুলো আত্মস্থ করতে সমর্থ হবেন।
নারী দেহে স্পর্শকাতর যতো অঙ্গের মিলন ঘটেছে। আর এই দেহটি চুম্বন গ্রহণের জন্য আদর্শ। প্রেমিকার ওষ্ঠ, কান, ঘাড়ে আপনি নিঃসঙ্কোচে চুমু খেতে পারবেন এবং এর বিপরীতে তার আচরণেই আপনি প্রেমিকার হৃদয়ে ঢেউগুলো আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে পাবেন।
তবে মনে রাখবেন, গভীর চুম্বনের সময় অর্থাৎ ফ্রেঞ্চ কিসের সময় নব্য চুম্বনকারীদের খেয়াল রাখতে হবে যে, প্রেমিকার ওষ্ঠ বা তিনি যেনো আহত না হন। আর এ জন্য মনের নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। ফ্রেঞ্চ কিসের অর্থ এই নয় যে, শক্তি প্রয়োগ করে চুমু খাওয়া হয়। এক পাশ হয়ে চুম্বন করতে করতে অন্য পাশ ফিরতে খেয়াল রাখবেন আপনার নাক যেনো তার নাকের সঙ্গে ধাক্কা না খায়।
একজন উত্তম চুম্বনকারীর বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় তার উষ্ণ সেক্সি নিঃশ্বাস থেকে। অবশ্যই আপনার দাঁত মাজা থাকতে হবে, মুখে পেঁয়াজ, রসুন বা তামাকের গন্ধ থাকা চলবে না। পারলে অবশ্যই মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করে নেবেন। কিছু মিন্ট ব্যবহার করবেন খাওয়ার পর।

ফ্রেঞ্চ কিসাররা আসলে চুম্বনে পারদর্শী। তিনি জানেন চুম্বনের সময় তার জিহ্বা কিছু ছোটখাটো চমক দেখাতে পারে। পারদর্শী চুম্বনকারীর চুম্বনের সময় তার চাল-চলন বোঝার চেষ্টা করেন প্রেমিকা। প্রেমিকাকে অল্প-স্বল্প চুম্বন করুন, তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকুন এবং তার মুখ বা চুল নিয়ে খেলা করুন। প্রেমিকা চোখ মেলে তাকালে দেখবেন, তার চোখে আপনার ব্যক্তিত্বের প্রতি চৌম্বক আকর্ষণ ফুটে উঠেছে। তার চোখ আর মুখখানা একবার বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজে উঠছে, আবার ঝলমলে রোদ্দুরে শুকোচ্ছে...বারবার।
সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস 

শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৪

পুরনো সম্পর্কে ফেরত যাওয়া উচিত নয় যে সাত কারণে

আপনার সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার কিছুদিন পর ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে? কিছুদিন পার হওয়ার পর ভাবছেন তার যদি কিছু উন্নতি হয় তাহলে আবার নতুন করে শুরু করা যায় সবকিছু? বাস্তবে মানুষকে পাল্টানো প্রায় অসম্ভব একটা কাজ। আর নিশ্চয়ই একটা কারণে তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তার সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করলে সে বিষয়গুলোও নতুন করে শুরু হতে পারে। এসব বিষয়ে পুরনো সম্পর্ক নতুন করে শুরু করার আগে সাতটি বিষয় চিন্তা করে নিতে ভুলবেন না।

১. সে একজন প্রতারক
সে যদি একজন প্রতারক হয়ে থাকে আর এ কারণে আপনি তার সঙ্গে যোগাযোগ ত্যাগ করেন, তাহলে আপনার মনে রাখতে হবে, একজন প্রতারক সবসময়েই প্রতারক। তাকে নতুন করে প্রতারণার সুযোগ না দেওয়াই ভালো। তার কাছে আবার ফেরত গেলে প্রতারক বন্ধু থেকে ভবিষ্যতে আপনি বড়জোর প্রতারক জীবনসঙ্গী পেতে পারেন।

২. সে আপনাকে ডাকে এবং পরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে
আপনি কি আপনার কাছে আসা সঙ্গীটির প্রেমে পড়েছিলেন? যিনি নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আপনাকে আকর্ষণ করেছে এবং তার প্রতি দুর্বল না হয়ে আপনার কোনো উপায় ছিল না? কিন্তু পরে সে তার নানা ব্যস্ততা কিংবা চাকরির কারণ দেখিয়ে আপনার থেকে দূরে সরে গেছে? তাহলে ভালো করে খবর না নিয়ে তাকে আর আপনার কাছে আসতে না দেওয়াই ভালো। কারণ তার ব্যস্ততা হতে পারে আপনার কাছে শুধুই বলার জন্য। হয়তো এর ভেতরে লুকিয়ে রয়েছে ভিন্ন কোনো বিষয়।

৩. সামনে তাকানো
বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন কোনোকিছু গ্রহণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু তার পরেও অনাগত ভবিষ্যতের দিকে তাকাতেই হবে। পুরনো সম্পর্কে যদি বাস্তবে সমস্যাই হয়, তাহলে সামনে তাকাতেই হবে। নিশ্চয়ই একটা কারণে তার সঙ্গে আপনার ছাড়াছাড়ি হয়েছিল।

৪. চাহিদার সঙ্গে বাস্তবতার অমিল
চাহিদা অনুযায়ী সবকিছু পাওয়া যায় না এটা সত্য। তার পরেও ব্যবধানটা যদি অনেক বেশি হয় তাহলে সেদিকে না যাওয়াই ভালো। এক্ষেত্রে একটি তালিকা করে দেখতে পারেন। আপনার চাহিদার সঙ্গে বাস্তবের অবস্থা কোন পর্যায়ে রয়েছে।

৫. ছাড়াছাড়ির খেলা
আপনি কি নাটক-সিনেমার মতো তার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির খেলা খেলেন। প্রতি সপ্তাহে আপনাদের মিল হয় আবার ঝগড়া হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান? তাহলে বুঝতে হবে আপনাদের এ সম্পর্ক একটি ভুল বিষয়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আপনাদের দুজন সম্পর্ক গড়ার চেয়ে বারবার সম্পর্ক ভাঙার বিষয়টিই অনুশীলন করছেন।

৬. সবাই আপনাদের সম্পর্কের বিরুদ্ধে
এমন যদি হয়, আপনার সঙ্গে তার সম্পর্ক কেউই পছন্দ করছে না, তাহলে এটা অবাস্তব। আপনার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, পরিচিত মানুষ সবাই যদি আপনাদের সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করে তাহলে বুঝতে হবে এটা রোমান্টিক নয় অবাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে।

৭. আপনি একাকী
একাকীত্বের কারণে আপনার পুরনো একজনকে ডেকে তার সঙ্গে পুরনো সম্পর্কের বিষয়ে অদ্যোপান্ত আলোচনা শুরু করা মোটেই কাম্য নয়। কারণ এর পরিণতিতে নতুন করে সম্পর্ক শুরু হতে পারে। তারপর আবার ঠিক পুরনো সময়ের মতোই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মেয়েদের মাঝে অনাকাঙ্ক্ষিত যে ৮টি বিষয় পুরুষ পছন্দ করে



মেয়ে হিসেবে সুন্দর সাজগোজ, মেকআপ ও পরিপাটি পোশাক পরেও পুরুষের মন জয় করা সম্ভব নাও হতে পারে। পুরুষের ঠিক কোন বিষয়টি পছন্দ তা অনেক মেয়ে ভাবতেই পারবে না। কারণ এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো নারীর ঠিক পছন্দনীয় না হলেও পুরুষ ঠিকই সেগুলো পছন্দ করে। এ ধরনের আটটি বিষয় থাকছে এ লেখায়।


১. বিনা মেকআপ


দুঃখিত মেয়ে! আপনার চোখের পাতার স্মোকি সাজ, কিংবা অর্থ খরচ করে করা দামি মেকআপ- জোর সম্ভাবনা রয়েছে এগুলো আপনার প্রিয় পুরুষের চোখে না পড়ার। অনেক ক্ষেত্রে এগুলো শুধু অর্থ খরচ ছাড়া আর কোনো কাজে দেয় না। মেকআপ ছাড়াই অনেকের আকর্ষণ বেড়ে যেতে পারে।


২. ম্যাচিং ছাড়া অন্তর্বাস


পোশাকের সঙ্গে অন্তর্বাসের মিল কিংবা উভয় অন্তর্বাসের সাদৃশ্য নিয়ে আপনি চিন্তিত? বাস্তবে এসব নিয়ে কিন্তু খুব একটা মাথা ঘামায় না আপনার প্রিয়পাত্র। তার বদলে বরং অন্তর্বাসের মিল না থাকাটাও অনেক ক্ষেত্রে আকর্ষণীয়।


৩. রসবোধ


আপনি ভাবছেন প্রেমের বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ের সমষ্টি? শারীরিক আকর্ষণ ও যোগাযোগের মতো বিষয়? এগুলোর চেয়ে রসবোধ অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। কোনো কৌতুক বলা, রসবোধের পরিচয় দিয়ে মজার রসিকতা করাও পুরুষকে অন্য সব বিষয়ের চেয়ে বেশি আকর্ষণ করতে পারে।


৪. শরীরের ভাঁজে যৌনতা


জিরো সাইজ মানেই আকর্ষণীয় নয়। স্লিম শরীর নয়, পুরুষরা শরীরের ভাঁজও পছন্দ করে।


৫. বুদ্ধিমত্তা, আত্মবিশ্বাস, আবেগগত পরিপক্কতা


নিজের বিষয়ে আত্মতৃপ্তি ও নিজের যা আছে তা জাহির করা পুরুষের পছন্দ। দুঃসময়ে পাশে থাকা ও সমর্থন জোগানো, যৌন উত্তেজক কথাবার্তা ও আচরণ এসবও পুরুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ পছন্দ।


৬. সাধারণ পোশাক


সাধারণ পোশাকও পুরুষের কাছে পছন্দের হয়ে উঠে। কারণ সব সময় পরিপাটি পোশাক অনেক সময় পুরুষকে স্বাচ্ছন্দ্য দেয় না। এতে একটা কৃত্রিমতা চলে আসতে পারে।


৭. অগোছালো চুল


তা হলে আর সকালে উঠে কষ্ট করে চুল আচড়ানোর দরকার কি? অগোছালো চুলও অনেক সময় পুরুষের পছন্দ হয়ে উঠে।


৮. দৃষ্টি বিনিময়


প্রিয় মানুষের চোখে চোখ রাখাটা পুরুষের পছন্দ। এ ক্ষেত্রে লজ্জার কোনো অবকাশ নেই। যে মেয়েরা কোনো দ্বিধা না করে চোখে চোখ রাখতে পারে স্বভাবতই তাদের পছন্দ করবে পুরুষরা।

শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০১৪

তোমারে পড়িছে মনে - প্রেমের কবিতা- কাজী নজরুল ইসলাম

    তোমারে পড়িছে মনে
   
      কাজী নজরুল ইসলাম

                 তোমারে পড়িছে মনে 
      আজি নীপ-বালিকার ভীরু-শিহরণে,
      যুথিকার অশ্রুসিক্ত ছলছল মুখে
      কেতকী-বধূর অবগুন্ঠিত ও বুকে-
                  তোমারে পড়িছে মনে।
হয়তো তেমনি আজি দূর বাতায়নে
                  ঝিলিমিলি-তলে
ম্লান   লুলিত অঞ্ছল
         চাহিয়া বসিয়া আছ একা,
বারে বারে মুছে যায় আঁখি-জল-লেখা।
বারে বারে নিভে যায় শিয়রেরে বাতি,
তুমি জাগ, জাগে সাথে বরষার রাতি।


                           সিক্ত-পক্ষ পাখী
তোমার চাঁপার ডালে বসিয়া একাকী
হয়ত তেমনি করি, ডাকিছ সাথীরে,
তুমি চাহি' আছ শুধু দূর শৈল-শিরে ।।
       তোমার আঁখির ঘন নীলাঞ্জন ছায়া
       গগনে গগনে আজ ধরিয়াছে কায়া । ...


আজি হেথা রচি' নব নীপ-মালা--
স্মরণ পারের প্রিয়া, একান্তে নিরালা
             অকারণে !-জানি আমি জানি
তোমারে পাব না আমি। এই গান এই মালাখানি
রহিবে তাদেরি কন্ঠে- যাহাদেরে কভু
চাহি নাই, কুসুমে কাঁটার মত জড়ায়ে রহিল যারা তবু।
বহে আজি দিশাহারা শ্রাবণের অশান্ত পবন,
তারি মত ছুটে ফেরে দিকে দিকে উচাটন মন,
           খুঁজে যায় মোর গীত-সুর
কোথা কোন্‌ বাতায়নে বসি' তুমি বিরহ-বিধুর।
তোমার গগনে নেভে বারে বারে বিজলীর দীপ,
আমার অঙ্গনে হেথা বিকশিয়া ঝরে যায় নীপ।
           তোমার গগনে ঝরে ধারা অবিরল,
আমার নয়নে হেথা জল নাই, বুকে ব্যথা করে টলমল।


আমার বেদনা আজি রূপ ধরি' শত গীত-সুরে
নিখিল বিরহী-কন্ঠে--বিরহিণী--তব তরে ঝুরে!
            এ-পারে ও-পারে মোরা, নাই নাই কূল!
            তুমি দাও আঁখি-জল, আমি দেই ফুল!


                                                কাজী নজরুল ইসলাম
                                                কাব্যগ্রন্থ - চক্রবাক

মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০১৪

পেশাগত জীবনে বিভিন্ন মানসিক চাপ


পেশাগত জীবনে নানা কারনেই মানসিক চাপ আসতে পারে স্বৈরশাসক প্রকৃতির উচ্চপদস্থ কর্তা অথবা কাজের ভীষণ চাপ, এমনকি সহকর্মীদের সাথে প্রতিযোগিতাও অনেক সময় মানসিক চাপের কারন হয়ে দাড়ায় সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে চাকুরীজীবীদের মধ্যে প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ তাদের কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড মানসিক চাপ নিয়ে কাজ করে যান গবেষণায় আরও দেখা যায় মানসিক চাপে আক্রান্ত এই চাকুরীজীবীরা জানেন না কীভাবে এই অবস্থার সাথে খাপ খাওয়াতে হয় গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল আমাদের এটাই মনে করিয়ে দেয় যে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে তাদের কর্মকর্তাদের মানসিক সাস্থের ব্যাপারে আরও মনযোগী হউয়া উচিত
গবেষণা প্রতিষ্ঠান .পি.. ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রায় ১৫০০ চাকুরীজীবীর উপর একটি গবেষণা চালান এই ১৫০০ চাকুরীজীবীর বয়স ১৮ বছরের উপরে এবং তারা সকলেই পূর্ণকালীন, খন্দকালিন বা অন্য যে কোন প্রকার কাজে নিয়োজিত গত মার্চ মাসে প্রকাশিত এই গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় তিনভাগের একভাগ দীর্ঘস্থায়ী মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকেন এর কারন হিসেবে তারা যে বিষয়গুলোকে উল্লেখ করেন সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কম বেতন, পদোন্নতির সুযোগের অভাব এবং প্রচণ্ড কাজের চাপ কিন্তু অবাক করার মত বিষয় হল ৩৬ ভাগ চাকুরীজীবী বলেন তারা তাদের কর্মস্থল থেকে মানসিক চাপ মুক্তির ব্যাপারে সহায়তা পেয়ে থাকেন ৫০ ভাগের বেশি অংশগ্রহণকারী বলেন তাদের কর্মস্থলে এই মানসিক চাপ দূর করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান সুযোগ সুবিধা রয়েছে
এটা সত্যি যে অনেক প্রতিষ্ঠানেই কর্মকর্তাদের মানসিক চাপ দূর করার জন্য নানা রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের কর্মশালা বা সেমিনার আয়োজন সেগুলোর মধ্যে অন্যতম কর্মকর্তারা সেই সব সেমিনারে যোগদানের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারেন কখনও কখনও ব্যত্তিগত উদ্যোগেও তারা বিভিন্ন সেমিনারে অংশ গ্রহন করতে পারেন কর্মক্ষেত্রে চাপ থাকবেই তাই প্রতিষ্ঠানের সহায়তা কিংবা ব্যত্তিগত উদ্যোগযেভাবেই হোক না কেন, এই চাপ মোকাবেলা করা শিখতে হবে কর্মক্ষেত্রে কৃতিত্তের সাথে টিকে থাকতে হলে মানসিক চাপকে সাফল্যের সাথে মোকাবেলার কোন বিকল্প নাই ৷৷

তোমাদের সত্যিকারের সুখ


তোমাদের সত্যিকারের সুখ

সমসাময়িক একটি গবেষনায় বলা হয় যে, যখন আমরা বন্ধুদের সঙ্গে বেশি সময় ব্যয় করতে শুরু করি তখন আমাদের নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে কাটানো সময়কে কম সুখের মনে হয় কিন্তু অনেকেই এর সাথে হয়ত একমত হবে না তবে এটা নয় যে, আপনি আপনার প্রিয়জনকে পছন্দ করছেন না কিন্তু আপনি যখন বেশির ভাগ সময় বাইরে কাটাবেন তখন আপনার পরিবারকে আপনার অসহ্য মনে হবে এটা কেন ? আপনার পরিবারে সময় এবং জায়গা দুটোই আছে তবে কিসের জন্য আপনি আপনার সুখ অনত্র খুঁজবেন পরিবারের বাইরে সুখ খুঁজতে গিয়ে আপনি নিজেই একসময় অসুখী হয়ে পড়বেন লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক এর গবেষণায় তারা তাদের তিন বছরের সুখের জীবনের সংঙ্গায় বলেছেন যে, “ যেসব কার্যবিধি আমাদের সুখী করে তার মধ্যে অন্যাতম হলো যৌনজীবন এবং মজার ব্যাপার হলো টাকা কখনোই সুখের চাবি কাঠি নয়

শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০১৪

প্রেমকে অর্থপূর্ণ করতে জীবন থেকে নেয়া সেরা পরামর্শ

আজ আমি কিছু টিপস দেব। 
ন্যাট বাগলে, মার্কিন তরুণ। ভালোবাসার গল্প শুনতে শুনতে তিতে হয়েছে উঠেছে তার মন। তবে এক পর্যায়ে স্ক্যান্ডাল ও ডিভোর্স এবং অপার্থিব রূপকথার গল্পে আগ্রহ বাড়ে তার। এক ছেলেমানুষি করে বসলেন তিনি। যে চাকরিটা করতেন তা ছেড়ে দিলেন। আর কিছু সঞ্চয় নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একটিই- নানা প্রান্তে ঘুরে ভালোবাসার গল্পগুলো খুঁজে বের করা। এ সফরে আমেরিকার আনাচে-কানাচ থেকে তিনি অসংখ্য জুটির সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এবং বের করে এনেছেন প্রায় ১০০টি সত্যিকার ভালোবাসার অসামান্য গল্প।

বাগলে নিজেই জানিয়েছেন- আমি সমকামী জুটি, স্বাভাবিক, বিশাল ধনী, হতদরিদ্র- এমন বহু জুটিদের গল্প শুনেছি। আবার ধর্মভীরু ও নাস্তিকদের জুটিও রয়েছে। খুব কম সময়ের জন্য ভালোবাসার সঙ্গী হয়েছেন বা এমন ভালোবাসার জুটির সন্ধানও পেয়েছেন যারা সত্তর বছর পরও একে-অপরকে অনেক ভালোবাসেন। পালিয়ে বিয়ে করেছেন বা পরিবারের মত নিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে বিয়ে হয়েছে এমন কপোত-কপোতীসহ বহুগামী প্রেমিক-প্রেমিকার অভিজ্ঞতা তার ঝুলিতে রয়েছে।

ভালোবাসার সত্যিকার গল্পের এই বিশাল সংগ্রহ নিয়ে একটি ডকুমেন্টরি বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে তার। আজকের এই লেখাটিতে তিনি এই সফরে ভালোবাসার সম্পর্ক নিয়ে যে বিশেষ অভিজ্ঞতা বা পরামর্শগুলো পেয়েছেন তা জানিয়েছেন

সম্পর্কের সফল পরিণতির চাবিকাঠি
ন্যাট বাগলে বললেন, এই সফর আমাকে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক অভিজ্ঞতা দিয়েছে। আমি বেশ কিছু মৌলিক শিক্ষা পেয়েছি। ভালোবাসার সফল পরিণতির জন্য মূল ব্যাপারগুলো হচ্ছে-

নিজেকে ভালোবাসা : সবচেয়ে সফল জুটিরা সুস্থ আবেগসম্পন্ন হয়ে থাকেন এবং স্বাধীনভাবে সুখী হন প্রত্যেকে। তারা নিজেকে যেভাবে ভালোবাসেন, ঠিক সেভাবেই সঙ্গী বা সঙ্গিনীকেও দেখেন। অন্তত পুরোপুরি না হলেও চেষ্টার কমতি থাকে না। সুস্থ আবেগ হলো ক্ষমা করতে শেখা, যেকোনো তর্ক বা বিতণ্ডায় নিজের ভুল বুঝতে পারা এবং নিজের ভুলের দায়িত্ব নেওয়া।

কথা দিয়ে কথা রাখা : সুস্থ আবেগের চর্চা ভালোবাসার জুটিদের কথা দিয়ে কথা রাখতে শেখায়। এক্ষেত্রে প্রত্যেকে ভালো করেই জানেন, যতো কিছুই বিগড়ে যাক না কেনো, একের অপরকে দেওয়া কথার কোনো নড়চড় হবে না। আর এ অংশটিই সবকিছুর থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী।

বিশ্বাস : সুখী দম্পতি বা জুটিরা একে অপরকে বিশ্বাস করেন। কারণ তারা একজন অপরজনের বিশ্বাস অর্জন করে নিয়েছেন। অন্যের প্ররোচনায় তাদের কারো যে কোনো ক্ষতি হবে না তা দুজনই বোঝেন। তারা ইতিমধ্যে প্রমাণ পেয়েছেন যে, একজন অপরজনের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহচর।

একে-অপরের কাছে নিজেকে প্রকাশ করতে ইচ্ছা : এ বিষয়টি হলো একটি কেকের ওপর ছড়িয়ে দেওয়া সুস্বাদু ক্রিমের মতো। মজার কেকটিকে আরো মুখরোচক করে দেয়। এর প্রকাশ অনেকভাবে হতে পারে। বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে একজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা কষ্ট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন- এমন জুটির সঙ্গে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে হাত ধরে পাশের গাছের নিচে দৌড়ে আশ্রয় নিলেন- এমন জুটির অনেক পার্থক্য রয়েছে। তেমনি বিদায় মুহূর্তে দুজন-দুজনকে জড়িয়ে রেখে দশ সেকেন্ড ধরে চুমু খাওয়া আর স্রেফ টাটা দিয়ে বিদায় দেওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। ভালোবাসার মানুষরা যেকোনো সংকটে একজন আরেক জনকে ব্যক্তিগতভাবে বুদ্ধি-পরামর্শ বা সহযোগিতার হাত বাড়ান। এভাবেই তারা প্রতিক্ষণ কোনো না কোনো কাজে আরেক জনের দিকে এগিয়ে যান।

সবচেয়ে ভালো পরামর্শ
এ সফরে এক নারীর উপদেশই আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে, জানালেন ন্যাট। ওই নারী জর্জিয়া এখন বৃদ্ধা। তারা এক সুখী দম্পতি একে অপরকে ৬০ বছর ধরে ভালোবেসে আসছেন। জর্জিয়া পরামর্শ দিতে গিয়ে বললেন, 'সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা বিলিয়ে দেওয়ার মতো একজন হতে কখনো ভয় পাওয়া চলবে না।'

বিতর্ক সমাধানের সবচেয়ে কার্যকর উপায়
সম্পর্কের টানাপড়েন থাকবেই। এসব সমাধানের সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলো হলো-

জেতার জন্য যু্দ্ধ করবেন না : অসংখ্য জুটির মধ্যের অসংখ্য বিষয়ের অমিল নিয়ে বৈচিত্র্যময় ঝামেলা তৈরি হয়েছে। যেকোনো সমস্যায় প্রত্যেকের তর্ক করা উচিত একটি লক্ষ্য নিয়ে। তা হলো, সমাধানের পথে যাওয়া। সততা না থাকলে জেতার পরও নিজেকে দোষী মনে হবে।

বোঝাপড়ার চেষ্টা : কঠিন সময়ে অপরকে বোঝার কাজটাই ভালো ফল এনে দেবে। প্রথমেই জানতে হবে, আরেক জন কেনো হতাশ। চরম ঝগড়ার সময় দুজনই সাধারণত ভয়ঙ্কর  হয়ে ওঠেন। কঠোর মন্তব্য বা প্রশ্নের ঝড় বইতে থাকে। ফলে দুজন-দুজনের যুক্তি-তর্ক থেকে আরো দূরে সরে যান। তাই উল্টোটা করতে হবে। একজনকে আরে কজনের কথা শুনতে হবে এবং বোঝার চেষ্টা করতে হবে।

ভদ্র শব্দ ব্যবহার : যতো ঝগড়াই চলুক, এখানে গালমন্দ করাটা খুবই বাজে বিষয়। একের অন্যের প্রতি সম্মনবোধ থাকলে এ কাজটি ত্যাগ করতে হবে।

সফরে সবচেয়ে সুন্দর ভালোবাসার কথা
বাগলের সফরে অসংখ্য ভালোবাসার কথার মধ্যে তার সবচেয়ে ভালো যে কথাটি লেগেছে সেটি হলো-
'আমাদের জীবন শেষ হওয়ার মুহূর্তে আমার যেনো ওকে বলার সামর্থ্য থাকে যে, তুমিই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ আর্শীবাদ। আর এ জন্যই আমি এতো ভালো আছি। কারণ তোমার ভালোবাসা। জীবনের প্রতিটি দিনে আমার ইচ্ছা ছিলো তোমাকে আরো বেশি ভালোবাসার।'



সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার